নিজেই দিন ফ্যাশন হাউস : সবচেয়ে সহজ পদ্ধতিতে।


নিজের ব্যবসা বলতেই একটা আলাদা অনুভূতি-অর্জন-উদ্দীপনা রয়েছে। অন্যের অধীনে চাকুরীর ক্ষেত্রে আপনি নিজের মধ্যের যতটুকু ঢেলে দেন তার থেকে কয়েকগুন বেশি আপনি নিজের ব্যবসায় ঢেলে দিতে তৈরী থাকেন। আপনি যদি পোষাক শিল্পে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য।
ফ্যাশন হাউস/বুটিক হাউস/কাপড়ের শো-রুম/রেডিমেইড গার্মেন্টস আপনি যে নামেই ডাকুন না কেন একটু সদিচ্ছা ও পরিশ্রম করার মনমানসিকতা থাকলে আপনি নিজেই এ রকম একটি ফ্যাশন হাউস দিয়ে স্বাবলম্বী হতে পারেন। প্রথমেই বলে রাখা ভালো ফ্যাশন হাউস দিতে গেলে আপনার কয়েকটি লাইসেন্স করতে হবে।
*
আপনার প্রতিষ্ঠানের নামে ট্রেড লাইসেন্স
*
টিআইএন সনদ
*
ভ্যাট সনদ
*
যদি নিজের ব্র্যান্ড বের করতে চান তাহলে তার ট্রেডমার্ক রেজিষ্ট্রেশন

ফ্যাশন হাউসের ব্যবসা কয়েক রকম ভাবেই আপনি করতে পারেন। শো-রুম আকারে দোকান দিয়ে অথবা গোডাউনের মাধ্যমে। শো-রুম আকারে দোকান নিতে গেলে উপরোক্ত সবগুলো লাইসেন্স করতে হবে। গোডাউনের ক্ষেত্রে এসব করতে হয় না তবে অনেকসময় ট্রেড লাইসেন্স করতে হয়।
আমি প্রথম আপনাকে গোডাউনের মাধ্যমে আরম্ভ করতে বলব। আপনি আপনার বাসার কোন একটি রুম গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন অথবা ছোটখাট একটি দোকান ভাড়া নিতে পারেন। এবার হচ্ছে পোষাক সংগ্রহের পালা।
একটি ফ্যাশন হাউসের জন্য একজন ফ্যাশন ডিজাইনার এবং একজন প্যাটার্ন মাস্টার কাম স্যাম্পল ম্যান অত্যাবশ্যক। যেহেতু আপনি নতুন এবং প্রথম ব্যবসা আরম্ভ করতে যাচ্ছেন সেহেতু আগে নিজেই চেষ্ঠা করে দেখুন। টাকা আয় করতে থাকলে লোকবল কোন ব্যাপার না। তখন একজন কেন যতজন ইচ্ছে ফ্যাশন ডিজাইনার নিয়োগ করতে পারবেন।
এখন এখানে নিজেই চেষ্ঠা করাবলতে কি বুঝান হয়েছে? আসলে আপনি চাইলেই তো আর ফ্যাশন ডিজাইনারদের মত ডিজাইন করতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে কি ব্যবসা বন্ধ থাকবে? না থাকবে না। এক্ষেত্রে দুটি উপায়ে আপনি ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারেন। প্রথমত গার্মেন্টস শিপমেন্ট ক্যান্সেল স্টকলটের মাধ্যমে এবং স্বল্পমূল্যে সলিড কালার টি-শার্ট ক্রয় করে তাতে আপনার ইচ্ছেমত প্রিন্ট করিয়ে নেয়ার মাধ্যমে। মাত্র ৭৫ টাকায় আপনি সলিড কালার টি-শার্ট পেতে পারেন। ইন্টারনেট থেকে খুঁজে খুঁজে ভালো ডিজাইন বের করে আপনি এসব টি-শার্টে প্রিন্ট করিয়ে নিতে পারেন। একটি সলিড কালার টি-শার্টের চেয়ে একটি প্রিন্টেড টি-শার্ট অনেক আকর্ষনীয় এবং বিক্রয়ের ক্ষেত্রে অনেক ভালো মূল্য পাওয়া যায়।
এসব টি-শার্ট আপনি স্থানীয় বা দেশীয় বড় বড় মার্কেটগুলোতে সরবরাহ করতে পারেন অথবা স্টক হিসেবে দেশের বাইরে পাঠাতে পারেন। এখন কথা হচ্ছে, যদি আপনার তৈরী করা টি-শার্ট মার্কেট দোকানদারেরা পছন্দ না করে? সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে স্যাম্পল তৈরী করা লাগতে পারে। এক্ষেত্রে ডিজাইন প্রতি টি-শার্ট স্যাম্পলের ক্ষেত্রে খরচ পরতে পারে ১০০০ টাকা। আপনি সেই স্যাম্পল দেখিয়ে মার্কেট যাচাই করে অথবা বিদেশী বায়ারদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন, পরবর্তীতে বায়ার স্যাম্পল পছন্দ করলে ১০০০ বা তদোর্দ্ধ টি-শার্টের অর্ডার দিলেন। এভাবে বিক্রি করতে করতে একসময় নিজেই নিজের ব্র্যান্ড নামে শো-রুম চালু করে ফেলুন। আজ আপতত এটুকুই। আপনাদের বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন আমাকে সবসময় অনুপ্রেরনা জাগায়। কমেন্ট বা ই-মেইলের মাধ্যমে প্রশ্ন করতে পারেন। ধন্যবাদ।
SHARE

Milan Tomic

Hi. I’m Designer of Blog Magic. I’m CEO/Founder of ThemeXpose. I’m Creative Art Director, Web Designer, UI/UX Designer, Interaction Designer, Industrial Designer, Web Developer, Business Enthusiast, StartUp Enthusiast, Speaker, Writer and Photographer. Inspired to make things looks better.

  • Image
  • Image
  • Image
  • Image
  • Image
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment