রুম্পাচক্রবর্তী নামে শৌখিন একফলচাষি বাণিজ্যিকভাবে ১০ একর জমিতেড্রাগন ফলের চাষ করেরীতিমতো হইচই সৃষ্টি করেফেলেছেন। ঢাকারসাভারে আশুলিয়ার মরিচকাটা গ্রামে ওই ফলচাষিপ্রায় সাড়ে ১৬ হাজারগাছ লাগিয়ে এরই মধ্যেসাফল্যের মুখ দেখতে শুরুকরেছেন। মাত্রএক বছরের মধ্যে গাছগুলোফলবতী হয়ে উঠছে।এ বছরই তিনি ৮থেকে ১০ হাজার ফলপাওয়ার আশা করছেন।ড্রাগন ফলের দেশ হিসেবেপরিচিত থাইল্যান্ডে একটি গাছ পরিপূর্ণফলবান হতে সময় লাগেতিন বছর। ২০০৯সালে থাইল্যান্ড থেকে ড্রাগন ফলেরচারা এনে জমিতে লাগানোরমাত্র এক বছরের মধ্যেফল ধরতে দেখে তিনিনিজেই হতবাক হয়ে যান। তাইতিনি রফতানিযোগ্য এই ফলের ভবিষ্যৎবাণিজ্যিক সম্ভাবনা নিয়ে বেশ আশাবাদী। দেশেএখন এই ফলের চারাওপাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশ কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রুট জার্ম প্লাজমসেন্টারে। সাভারেরজিরানীতেও বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে এইফল। এলআর এগ্রোর স্বত্বাধিকারী লুৎফররহমানও গড়ে তুলেছেন ড্রাগনফলের বাগান।
খবরেপ্রকাশ, ফটিকছড়ির হালদা ভ্যালি চাবাগানের গাছে গাছে এখনদুলছে লাল টুকটুকে ড্রাগনফল। এবছর বেশ ভালো ফলনহয়েছে দুর্লভ ও সুস্বাদুড্রাগন ফলের। চাউৎপাদনে রেকর্ড সৃষ্টির পাশাপাশিদেশের মাটিতে বিদেশি ফল; ড্রাগন চাষেও সফলতা অর্জনকরেছে এ বাগান কর্তৃপক্ষ। একারণে রামগড়ের পার্শ্ববর্তী উত্তর ফটিকছড়ির প্রত্যন্তএলাকার এ চা বাগানটিব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে।হালদা ভ্যালি চা বাগানেরব্যবস্থাপক জানান, চা বাগানেরব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রাইম ব্যাংকেরচেয়ারম্যান নাদের খান সম্পূর্ণশখের বশে এ বিদেশিফলের চাষের উদ্যোগ নেন। ২০০৪সালে থাইল্যান্ড সফরকালে তিনি ড্রাগন ফলের৮০০ চারা গাছ সংগ্রহকরে আনেন। হালদাভ্যালি চা বাগানের অনাবাদিজায়গায় চারাগুলো রোপণ করা হয়। গাছলাগানোর ৩-৪ বছরপরই ফুল ও ফলআসতে শুরু করে।প্রথমদিকে ফলন কম হলেওএখন প্রতি বছরই উৎপাদনবাড়ছে।
কাটিংপদ্ধতিতে চারা উৎপাদন করেবাগান সম্প্রসারণ করা হচ্ছে প্রতিবছর। বর্তমানেপ্রায় ১ হাজার ২০০ফলবান গাছ আছে।এবার গাছের প্রতিটি ডালে৫০-৬০টি ফল ধরেছে। পাকাফলগুলোর প্রতিটির ওজন ৪০০ থেকে৫০০ গ্রাম। গতবছর প্রায় ২০০-২৫০কেজি ফল উৎপাদন হয়। এবারসাড়ে ৩৫০ কেজির মতোফল হয়েছে। তিনিজানান, এপ্রিল-মে মাসেফুল আসে। ২০-২৫ দিনে ফুলফলে পরিণত হয়।অক্টোবর-নভেম্বর মাস পর্যন্ত ফুলফোটা ও ফল ধরাপ্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে। এদেশের মাটি ও আবহাওয়াযে ড্রাগন ফল চাষেরজন্য উপযোগী তা প্রমাণকরেছে হালদা ভ্যালি চাবাগান। এইফলের অন্য নাম পিটাইয়া।
বাংলাদেশকৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাউ জার্ম প্লাজমসেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. এমএ রহিম২০০৭ সালে বাংলাদেশে ড্রাগনফলের প্রবর্তন করেন। তিনিএ ফলের জাত নিয়েআসেন থাইল্যান্ড, ফ্লোরিডা ও ভিয়েতনাম থেকে। সেসবগাছ এখন দিব্যি ফলদিচ্ছে। এরইমধ্যে এ ফলের বাণিজ্যিকচাষের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।এই সফলতার ওপর ভিত্তিকরেই জার্ম প্লাজম সেন্টারেরপক্ষ থেকে নাটোর, রাজবাড়ী, রাঙ্গামাটিসহ এখন দেশের প্রত্যন্তঅঞ্চলে ড্রাগন ফলের চাষসম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০০৯সালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরেরমহাপরিচালক বড়াইগ্রামে হবিদুল ইসলামের বাড়িতেবাংলাদেশে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে ড্রাগনফলের চাষ উদ্বোধন করেন। তারবাড়িতে ৫টি ড্রাগন ফলেরচারা লাগানো হয়।গত বছর তার ওইবাগানের একটি গাছে তিনটিফল ধরেছে এবং অন্যগাছগুলোতেও ফুল ধরা শুরুকরেছে। মাত্রআড়াই বছর পরিচর্যার পরড্রাগন গাছে ফল ধরাতেভীষণ খুশি ফলচাষি হবিদুলইসলাম। এরইমধ্যে আরও অনেকে তারকাছ থেকে চারা নিয়েলাগানো শুরু করেছেন।পুষ্টিকর ও সুস্বাদু এইফলের চাষ হলে সবাইউপকৃত হবে এটাই হবিদুলইসলামের প্রত্যাশা।
গততিন বছর ধরে ড্রাগনফলের পরীক্ষামূলক গবেষণায় সফল হয়েছেন রাঙ্গামাটিরকাপ্তাই কৃষি গবেষণা কেন্দ্রেরবিজ্ঞানীরা। তাদেরমতে, পাহাড়ের মাটি এই ফলচাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। দক্ষিণআমেরিকার জঙ্গলে ড্রাগন ফলেরজন্ম। প্রায়১০০ বছর আগে ড্রাগনফলের বীজ নিয়ে আসাহয় ভিয়েতনামে। এরপরথেকে ধীরে ধীরে শুরুহয় ড্রাগন ফলের চাষ।
প্রতিবিঘা জমিতে ২০০টি ড্রাগনফলের গাছ রোপণ করাযায়। ড্রাগনফুল নাইট কুইনের মতোইরাতে ফোটে। ফুলেরআকার লম্বাটে এবং রং সাদাও হলুদ। ফুলস্বপরাগায়িত এবং মৌমাছি ওপোকামাকড় পরাগায়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে। ফুলথেকে ডিম্বাকৃতি ফল উৎপন্ন হয়। ফলহালকা মিষ্টি ও ক্যালরিকম যুক্ত এবং এতেকালোজিরার মতো অসংখ্য বীজথাকে। একটিগাছ থেকে বছরে ৬০থেকে ১০০ কেজি ফলপাওয়া যায়। পোকামাকড়ও রোগবালাইয়ের উপদ্রব কম থাকায়এ ফল চাষে রাসায়নিকসার ও বালাইনাশকের তেমনপ্রয়োজন হয় না।গাছগুলো প্রায় শতকরা ৫০ভাগ খাবার বায়ুমন্ডল থেকেইসংগ্রহ করতে পারে এবংবাকি খাবার সংগ্রহ করেজৈব সার থেকে।এজন্য কৃষি মন্ত্রণালয় এইফল চাষের ওপর জোরদিচ্ছে।
বাউড্রাগন ফল-১ (সাদা) ও বাউ ড্রাগন ফল-২ (লাল)।এ দুটি জাত বাংলাদেশেচাষ করা হচ্ছে।বীজ ও কাটিং পদ্ধতিতেড্রাগন ফলের চাষ করাযায়। তবেবীজের গাছে মাতৃগাছের মতোফলের গুণাগুণ না-ও থাকতেপারে। এতেফল ধরতে বেশি সময়লাগে। ড্রাগনচাষের জন্য কাটিংয়ের চারাইবেশি উপযোগী। কাটিংথেকে উৎপাদিত গাছে ফল ধরতে১২ থেকে ১৮ মাসসময় লাগে। উপযুক্তযত্ন নিলে একরপ্রতি ৬থেকে ৭ টন ফলনপাওয়া যায়। কেজিপ্রতিদাম ২০০ টাকা হলেও, যার বাজর মূল্য ১২থেকে ১৪ লাখ টাকা। খরচ৬ থেকে ৭ লাখটাকা বাদ দিলেও নিটলাভ হবে ৬ থেকে৭ লাখ টাকা। বর্তমানে ভিয়েতনামে এই ফল বেশিচাষ হচ্ছে। ভিয়েতনামছাড়াও তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, চীন, ইসরাইল, অস্ট্রেলিয়াতেওড্রাগন ফলের চাষ হচ্ছে। ড্রাগনফল চাষ খুব সহজ। ড্রাগনফলের চারা লাগানোর উপযুক্তসময় হলো জুন-জুলাই মাস। আমাদেরদেশের প্রেক্ষাপটে মে মাস থেকেঅক্টোবর মাসে ফল সংগ্রহকরা যায়। শীতকালেএই গাছ ফুল দেয়াবন্ধ করে দেয়।ড্রাগন ফল গাছে পাকাঅবস্থায় ৫ থেকে ৭দিন রেখে দেয়া যায়। আরগাছ থেকে ফল সংগ্রহেরপর রাখা যায় প্রায়এক মাস।
প্রায় সব ধরনের উঁচুমাটিতেই ড্রাগন ফলের চাষকরা যায়। বর্তমানেঢাকার কিছু অভিজাত হোটেলেপ্রতি কেজি ড্রাগন ফল৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়বিক্রি হচ্ছে। নাটোরসহদেশের অন্যান্য স্থানে এর আবাদহলে দাম কমবে বলেআশা করেন দেশের উদ্যানবিশেষজ্ঞরা। এছাড়াইউরোপ ও আমেরিকায় দিনদিন এ ফলের চাহিদাবৃদ্ধি পাচ্ছে। আশাকরা যায়, দুই/একশতাব্দীর মধ্যেই ইউরোপ-আমেরিকায়ড্রাগন ফল প্রধান ফলহিসেবে আবির্ভূত হবে। সেইসঙ্গেবাংলাদেশও প্রসিদ্ধি লাভ করবে ড্রাগনফল উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে।
প্রায় সব ধরনের উঁচুমাটিতেই ড্রাগন ফলের চাষকরা যায়। বর্তমানেঢাকার কিছু অভিজাত হোটেলেপ্রতি কেজি ড্রাগন ফল৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়বিক্রি হচ্ছে। নাটোরসহদেশের অন্যান্য স্থানে এর আবাদহলে দাম কমবে বলেআশা করেন দেশের উদ্যানবিশেষজ্ঞরা। এছাড়াইউরোপ ও আমেরিকায় দিনদিন এ ফলের চাহিদাবৃদ্ধি পাচ্ছে। আশাকরা যায়, দুই/একশতাব্দীর মধ্যেই ইউরোপ-আমেরিকায়ড্রাগন ফল প্রধান ফলহিসেবে আবির্ভূত হবে। সেইসঙ্গেবাংলাদেশও প্রসিদ্ধি লাভ করবে ড্রাগনফল উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে।
ড্রাগন ফলেরপুষ্টিমান
ভক্ষণযোগ্য প্রতি ১০০ গ্রামে পাওয়া যায়-
- পানি - ৮০-৯০ গ্রাম
- শর্করা - ৯-১০ গ্রাম
- প্রোটিন - ০.১৫-০.৫ গ্রাম
- আঁশ - ০.৩৩-০.৯০ গ্রাম
- খাদ্যশক্তি - ৩৫-৫০ কিলোক্যালরি
- চর্বি - ০.১০-০.৬ গ্রাম
- ক্যালসিয়াম - ৬-১০ মি গ্রাম
- আয়রন- ০.৩-০.৭ মি.গ্রাম
- ফসফরাস - ১৬-৩৫ গ্রাম
- ক্যারোটিন - (Vitamin A থায়ামিন, রিবোফ্লাবিন সামান্য
- ভিটামিন - বি-৩ - ০.২ - ০.৪মিগ্রাম
ভিটামিন - সি -৪-২৫ মিগ্রাম
ড্রাগনফলের গুরুত্ব
১. ক্যারোটিন সমৃদ্ধ থাকায় সুস্থ চোখের উন্নয়ন করে।
২. আঁশ বেশি থাকায় হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
৩. আঁশ শরীরের চর্বি কমায়।
৩. আঁশ শরীরের চর্বি কমায়।
৪. এর প্রোটিন শরীরের বিপাকীয় কাজে সহায়তা করে।
৫. ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত ও সুস্থ দাঁত তৈরি করে।
৬. ভিটামিন-বি-১ কার্বহাইড্রেট বিপাক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন করে।
৭. ভিটামিন বি-৩ রক্তের কোলেস্টেরল কমায় এবং ত্বক মসৃণ রাখে।
৮. ভিটামিন সি শরীরের কাটা, ভাঙাজোড়া লাগাতে সাহায্য করে।
৯. ভিটামিন বি-২ শরীরে ক্ষুধা তৃষ্ণা, যৌনবাসনা, প্রভৃতিমিটানোর আকাঙক্ষা উন্নয়ন ও পূরণে সাহায্য করে।
১০. ফসফরাস বেশি থাকায় কোষ কলা গঠনে সাহায্য করে।
ঔষধিগুণ
রক্তের চাপনিয়ন্ত্রণ করে।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
তাইওয়ানেডায়াবেটিসের রোগীরাভাতের পরিবর্তেএ ফলপ্রধান খাদ্যহিসেবে ব্যবহারকরে।
ফলটিতে ফাইটোঅ্যালবুমিন, এন্টিঅ্যঙিডেন্ট থাকেযা ক্যান্সারেরকারণ ফ্রিরেডিক্যাল তৈরিতেবাধা দেয়।
এ ফলখেলে রক্তেরশর্করা নিয়ন্ত্রণেথাকে।
ক্রনিক আন্ত্রিকসমস্যার সমাধানকরে।
লিভারেরজন্য খুবইউপযোগী।
গবেষণায়জানা গেছেএ ফলনিয়মিত খেলেওজন কমেএবং সুন্দরশরীর তৈরিহয়।
রোপণ ও সার ব্যবস্থাপনা
জমি ভালোভাবে চাষ করে গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ৩ মিটার দিয়ে হেক্সাগোনাল বা ষড়ভোজী পদ্ধতি ব্যবহার করে এ গাছ লাগানো ভালো। তবে অবস্থা ভেদে দূরত্ব কম বা বেশি দেওয়া যেতে পারে। ড্রাগন ফলের চারা রোপণের জন্য ২০-৩০ দিন আগে প্রতি গর্তে ৪০ কেজি পচা গোবর, ৫০ গ্রাম ই্উরিয়া, টিএসপি ও এমওপি ১শ’ গ্রাম করে এবং জিপসাম, বোরাক্স ও জিংকসালফেট ১০ গ্রাম করে দিয়ে, গর্তের মাটি উপরে-নিচে ভালোভাবে মিশিয়ে রেখে দিতে হবে। ক্যাকটাস গোত্রের গাছ বিধায় বছরের যে কানো সময়ই লাগানো যায় তবে এপ্রিল-সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে লাগানো ভালো। কাটিংকৃত কলম প্রতি গর্তে ৪ থেকে ৫টি করে লাগানো হয়। এক্ষেত্রে যদি ভিয়েতনাম পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় তাহলে পিলারের চারদিকে কাটিংকৃত কলম চারা লাগিয়ে পিলারের সাথে বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু যদি থাইল্যান্ড ও ফ্লোরিডা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় তাহলে গর্তে সোজা করে ৪ থেকে ৫টি কলম চারা রোপণ করা হয়। এ গাছ ১.৫-২.৫ মিটার লম্বা হয়। এজন্য এ গাছকে উপরের দিকে ধরে রাখার জন্য সিমেন্টের বা বাঁশের খুটির সাথে উপরের দিকে তুলে দেওয়া হয়। এটি হলো ভিয়েতনাম সিস্টেম। এছাড়া উপরের দিকে ছোট মোটর গাড়ির চাকা বাঁশের চ্যাগারের মধ্যে সেট করে খুব সহজেই এ গাছের শাখাগুলোকে বাড়তে দেওয়া যায় এবং এ সিস্টেমকে বলা হয় শ্রীলংকা সিস্টেম। থাইল্যান্ড ও ফ্লোরিডাতে দুপাশে দুটি খুঁটি পুঁতে মোটা তারের উপরে জাংলার মতো তৈরি করে গাছ জাংলায় তুলে চাষ করা হয়। এ সিস্টেমকে বলা হয় ফ্লোরিডা সিস্টেম।
জমি ভালোভাবে চাষ করে গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ৩ মিটার দিয়ে হেক্সাগোনাল বা ষড়ভোজী পদ্ধতি ব্যবহার করে এ গাছ লাগানো ভালো। তবে অবস্থা ভেদে দূরত্ব কম বা বেশি দেওয়া যেতে পারে। ড্রাগন ফলের চারা রোপণের জন্য ২০-৩০ দিন আগে প্রতি গর্তে ৪০ কেজি পচা গোবর, ৫০ গ্রাম ই্উরিয়া, টিএসপি ও এমওপি ১শ’ গ্রাম করে এবং জিপসাম, বোরাক্স ও জিংকসালফেট ১০ গ্রাম করে দিয়ে, গর্তের মাটি উপরে-নিচে ভালোভাবে মিশিয়ে রেখে দিতে হবে। ক্যাকটাস গোত্রের গাছ বিধায় বছরের যে কানো সময়ই লাগানো যায় তবে এপ্রিল-সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে লাগানো ভালো। কাটিংকৃত কলম প্রতি গর্তে ৪ থেকে ৫টি করে লাগানো হয়। এক্ষেত্রে যদি ভিয়েতনাম পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় তাহলে পিলারের চারদিকে কাটিংকৃত কলম চারা লাগিয়ে পিলারের সাথে বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু যদি থাইল্যান্ড ও ফ্লোরিডা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় তাহলে গর্তে সোজা করে ৪ থেকে ৫টি কলম চারা রোপণ করা হয়। এ গাছ ১.৫-২.৫ মিটার লম্বা হয়। এজন্য এ গাছকে উপরের দিকে ধরে রাখার জন্য সিমেন্টের বা বাঁশের খুটির সাথে উপরের দিকে তুলে দেওয়া হয়। এটি হলো ভিয়েতনাম সিস্টেম। এছাড়া উপরের দিকে ছোট মোটর গাড়ির চাকা বাঁশের চ্যাগারের মধ্যে সেট করে খুব সহজেই এ গাছের শাখাগুলোকে বাড়তে দেওয়া যায় এবং এ সিস্টেমকে বলা হয় শ্রীলংকা সিস্টেম। থাইল্যান্ড ও ফ্লোরিডাতে দুপাশে দুটি খুঁটি পুঁতে মোটা তারের উপরে জাংলার মতো তৈরি করে গাছ জাংলায় তুলে চাষ করা হয়। এ সিস্টেমকে বলা হয় ফ্লোরিডা সিস্টেম।
বংশবিস্তার
এ ফলের বংশবিস্তার খুব সহজ। বীজ দিয়েও বংশ বিস্তার করা যায়। তবে এতে ফল ধরতে একটু বেশি সময় লাগে তবে হবহু মাতৃবৈশিষ্ট্য বজায় থাকে না। সেজন্য কাটিং এর মাধ্যমে বংশ বিস্তার করাই ভালো। কাটিং এর সফলতার হার প্রায় শতভাগ এবং তাড়াতাড়ি ধরে। কাটিং থেকে উৎপাদিত একটি গাছে ফল ধরতে ১২-১৮ মাস সময় লাগে। সাধারণত বয়স্ক এবং শক্ত শাখা ১ থেকে ১.৫ ফুট কেটে হালকা ছায়াতে বেলে দোআঁশ মাটিতে গোড়ার দিকের কাটা অংশ পুতে সহজেই চারা উৎপাদন করা যায়। তারপর ২০ থেকে ৩০দিন পরে কাটিং এর গোড়া থেকে শিকড় বেরিয়ে আসবে। তখন এটা মাঠে লাগানোর উপযুক্ত হবে। তবে উপযুক্ত পরিবেশে ও প্রয়োজন অনুযায়ী কাটিংকৃত কলম সরাসরি মূল জমিতে লাগানো যায়।
এ ফলের বংশবিস্তার খুব সহজ। বীজ দিয়েও বংশ বিস্তার করা যায়। তবে এতে ফল ধরতে একটু বেশি সময় লাগে তবে হবহু মাতৃবৈশিষ্ট্য বজায় থাকে না। সেজন্য কাটিং এর মাধ্যমে বংশ বিস্তার করাই ভালো। কাটিং এর সফলতার হার প্রায় শতভাগ এবং তাড়াতাড়ি ধরে। কাটিং থেকে উৎপাদিত একটি গাছে ফল ধরতে ১২-১৮ মাস সময় লাগে। সাধারণত বয়স্ক এবং শক্ত শাখা ১ থেকে ১.৫ ফুট কেটে হালকা ছায়াতে বেলে দোআঁশ মাটিতে গোড়ার দিকের কাটা অংশ পুতে সহজেই চারা উৎপাদন করা যায়। তারপর ২০ থেকে ৩০দিন পরে কাটিং এর গোড়া থেকে শিকড় বেরিয়ে আসবে। তখন এটা মাঠে লাগানোর উপযুক্ত হবে। তবে উপযুক্ত পরিবেশে ও প্রয়োজন অনুযায়ী কাটিংকৃত কলম সরাসরি মূল জমিতে লাগানো যায়।
প্রুনিং ও ট্রেনিং
ড্রাগন ফল খুব দ্রুত বাড়ে এবং মোটা শাখা তৈরি করে। একটি ১ বছরের গাছ ৩০টি পর্যন্ত শাখা তৈরি করতে পারে এবং ৪ বছরের বয়সী একটি ড্রাগন ফলের গাছ ১শ’ ৩০টি পর্যন্ত প্রশাখা তৈরি করতে পারে। তবে শাখা প্রশাখা উৎপাদন উপযুক্ত ট্রেনিং ও ব্যবস্থাপনার ওপর নির্ভর করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ১২ থেকে ১৮ মাস পর একটি গাছ ফল ধারণ করে। ফল সংগ্রহের ৪০ থেকে ৫০টি প্রধান শাখায় প্রত্যেকটি ১ বা ২টি সেকেন্ডারি শাখা অনুমোদন করা হয়। তবে এ ক্ষেত্রে টারসিয়ারী ও কোয়ার্টারনারী প্রশাখাকে অনুমোদন করা হয় না। ট্রেনিং এবং প্রুনিং এর কার্যক্রম দিনের মধ্যে ভাগে করাই ভালো। ট্রেনিং ও প্রুনিং করার পর অবশ্যই যে কোন ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করতে হবে। তানা হলে বিভিন্ন প্রকার রোগবালাই আক্রমণ করতে পারে।
ড্রাগন ফল খুব দ্রুত বাড়ে এবং মোটা শাখা তৈরি করে। একটি ১ বছরের গাছ ৩০টি পর্যন্ত শাখা তৈরি করতে পারে এবং ৪ বছরের বয়সী একটি ড্রাগন ফলের গাছ ১শ’ ৩০টি পর্যন্ত প্রশাখা তৈরি করতে পারে। তবে শাখা প্রশাখা উৎপাদন উপযুক্ত ট্রেনিং ও ব্যবস্থাপনার ওপর নির্ভর করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ১২ থেকে ১৮ মাস পর একটি গাছ ফল ধারণ করে। ফল সংগ্রহের ৪০ থেকে ৫০টি প্রধান শাখায় প্রত্যেকটি ১ বা ২টি সেকেন্ডারি শাখা অনুমোদন করা হয়। তবে এ ক্ষেত্রে টারসিয়ারী ও কোয়ার্টারনারী প্রশাখাকে অনুমোদন করা হয় না। ট্রেনিং এবং প্রুনিং এর কার্যক্রম দিনের মধ্যে ভাগে করাই ভালো। ট্রেনিং ও প্রুনিং করার পর অবশ্যই যে কোন ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করতে হবে। তানা হলে বিভিন্ন প্রকার রোগবালাই আক্রমণ করতে পারে।
সেচ নিকাশ
ড্রাগন ফল চাষে পানি খুব কম লাগে। শুকনো মৌসুমে অবশ্যই সেচ ও বর্ষা মৌসুমে নিকাশের ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে দু’লাইনের মাঝখানে ৫০ থেকে ১শ’ সেন্টিমিটার আকারে নালা তৈরি করা যায়। এতে করে নালায় ১ বা ২দিন পানি জমা রেখে গাছের মাটিতে রস সরবরাহ করা যায়। তবে মনে রাখতে হবে যে, এ গাছ অতিরিক্ত পানি সহ্য করতে পারে না। পানি ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে।
ড্রাগন ফল চাষে পানি খুব কম লাগে। শুকনো মৌসুমে অবশ্যই সেচ ও বর্ষা মৌসুমে নিকাশের ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে দু’লাইনের মাঝখানে ৫০ থেকে ১শ’ সেন্টিমিটার আকারে নালা তৈরি করা যায়। এতে করে নালায় ১ বা ২দিন পানি জমা রেখে গাছের মাটিতে রস সরবরাহ করা যায়। তবে মনে রাখতে হবে যে, এ গাছ অতিরিক্ত পানি সহ্য করতে পারে না। পানি ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে।
অসময়ে ফল উৎপাদনের কলা কৌশল
বাউ জার্মপ্লাজম সেন্টারে পরীক্ষামূলক চাষে দেখা গেছে যে ফল আসা শুরু হয় জুন মাসে এবং নভেম্বর মাস পর্যন্ত সংগ্রহ করা যায়। ভিয়েতনামে শীতকালে দিবসের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে প্রতি ৪টি গাছের জন্য একটি করে ৬০ থেকে ১শ’ ওয়াটের বাল্ব সন্ধ্যা থেকে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা জ্বালিয়ে রেখে ফল আনা হচ্ছে। এতে সুবিধা হচ্ছে যে চাহিদা মোতাবেক সময়ে ফল নেওয়া যায়।
বাউ জার্মপ্লাজম সেন্টারে পরীক্ষামূলক চাষে দেখা গেছে যে ফল আসা শুরু হয় জুন মাসে এবং নভেম্বর মাস পর্যন্ত সংগ্রহ করা যায়। ভিয়েতনামে শীতকালে দিবসের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে প্রতি ৪টি গাছের জন্য একটি করে ৬০ থেকে ১শ’ ওয়াটের বাল্ব সন্ধ্যা থেকে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা জ্বালিয়ে রেখে ফল আনা হচ্ছে। এতে সুবিধা হচ্ছে যে চাহিদা মোতাবেক সময়ে ফল নেওয়া যায়।
রোগ বালাই ও পোকা মাকড়
ফলে রোগ বালাই খুবই একটা চোখে পড়ে না। তাবে কখনো কখনো এ পল গাছে মূলপঁচা, কান্ড ও গোড়া পঁচা রোগ দেখা যায়। মূলপচাঁ: গোড়ায় অতিরিক্ত পানি জমে গেলে মূল পঁচে যায়। এ রোগ হলে মাটির ভিতরে গাছের মূল একটি দুটি করে পঁচতে পঁচতে গাছের সমস্ত মূল পঁচে যায়। গাছকে উপরের দিকে টান দিলে মূল ছাড়া শুধু কান্ড উঠে আসে। তবে এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে উঁচু জমিতে এ ফলের চাষ করা ভালো। এ রোগটি Fusarium sp দ্বারা সংঘটিত হয়। কাণ্ড ও গোড়া পঁচা রোগ: ছত্রাক অথবা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা এ রোগ হতে পারে। এ রোগ হলে গাছের কাণ্ডে প্রথমে হলুদ রং এবং পরে কালো রং ধারণ করে এবং পরবর্তীতে ঐ অংশে পঁচন শুরু হয় এবং পঁচার পরিমাণ বাড়তে থাকে। এ রোগ দমনের জন্য যে কোন ছত্রাকনাশক (বেভিস্টিন, রিডোমিল, থিওভিট ইত্যাদি) ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করে সহজেই দমন করা যায়।
ফলে রোগ বালাই খুবই একটা চোখে পড়ে না। তাবে কখনো কখনো এ পল গাছে মূলপঁচা, কান্ড ও গোড়া পঁচা রোগ দেখা যায়। মূলপচাঁ: গোড়ায় অতিরিক্ত পানি জমে গেলে মূল পঁচে যায়। এ রোগ হলে মাটির ভিতরে গাছের মূল একটি দুটি করে পঁচতে পঁচতে গাছের সমস্ত মূল পঁচে যায়। গাছকে উপরের দিকে টান দিলে মূল ছাড়া শুধু কান্ড উঠে আসে। তবে এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে উঁচু জমিতে এ ফলের চাষ করা ভালো। এ রোগটি Fusarium sp দ্বারা সংঘটিত হয়। কাণ্ড ও গোড়া পঁচা রোগ: ছত্রাক অথবা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা এ রোগ হতে পারে। এ রোগ হলে গাছের কাণ্ডে প্রথমে হলুদ রং এবং পরে কালো রং ধারণ করে এবং পরবর্তীতে ঐ অংশে পঁচন শুরু হয় এবং পঁচার পরিমাণ বাড়তে থাকে। এ রোগ দমনের জন্য যে কোন ছত্রাকনাশক (বেভিস্টিন, রিডোমিল, থিওভিট ইত্যাদি) ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করে সহজেই দমন করা যায়।
পোকা মাকড়
ড্রাগন ফলের জন্য ক্ষতিকর পোকা মাকড় খুব একটা চোখে পড়ে না, তবে মাঝে মাঝে এফিড ও মিলি বাগের আক্রমণ দেখা যায়। এফিডের বাচ্চা ও পূর্ণ বয়স্ক পোকা গাছের কচি শাখা ও পাতার রস চুষে খায়, ফলে আক্রান্ত গাছের কচি শাখা ও ডগার রং ফ্যাকাশে হয়ে যায় ও গাছ দূর্বল হয়ে পড়ে। এ পোকা ডগার উপর আঠালো রসের মতো মল ত্যাগ করে ফলে শুটিমোল্ড নামক কালো ছত্রাক রোগের সৃষ্টি হয়। এতে গাছের খাদ্য তৈরি ব্যাহত হয়। এতে ফুল ও ফল ধারণ কমে যায়। এ পোাকা দমনে সুমিথিয়ন/ ডেসিস/ ম্যালাথিয়ন এসব কীটনাশক প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২৫ মিলিলিটার বা ৫ কাপ ভালো ভাবে মিশিয়ে স্প্রে করে সহজেই এ রোগ দমন করা যায়।
ড্রাগন ফলের জন্য ক্ষতিকর পোকা মাকড় খুব একটা চোখে পড়ে না, তবে মাঝে মাঝে এফিড ও মিলি বাগের আক্রমণ দেখা যায়। এফিডের বাচ্চা ও পূর্ণ বয়স্ক পোকা গাছের কচি শাখা ও পাতার রস চুষে খায়, ফলে আক্রান্ত গাছের কচি শাখা ও ডগার রং ফ্যাকাশে হয়ে যায় ও গাছ দূর্বল হয়ে পড়ে। এ পোকা ডগার উপর আঠালো রসের মতো মল ত্যাগ করে ফলে শুটিমোল্ড নামক কালো ছত্রাক রোগের সৃষ্টি হয়। এতে গাছের খাদ্য তৈরি ব্যাহত হয়। এতে ফুল ও ফল ধারণ কমে যায়। এ পোাকা দমনে সুমিথিয়ন/ ডেসিস/ ম্যালাথিয়ন এসব কীটনাশক প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২৫ মিলিলিটার বা ৫ কাপ ভালো ভাবে মিশিয়ে স্প্রে করে সহজেই এ রোগ দমন করা যায়।
ফল সংগ্রহও ফলন
· ফল যখনসম্পূর্ণ লালরঙ ধারণকরে তখনসংগ্রহ করতেহবে।
· ফুল আসার৩০-৫০দিনের মধ্যেফল সংগ্রহকরা যায়।
· বছরে ৫-৬টিপর্যায়ে ফলসংগ্রহ করাযায়। প্রথমতজুন-অক্টোবর, দ্বিতীয় ডিসেম্বর-জানুয়ারি।
· প্রতিটিফলের ওজন২০০ গ্রামথেকে ১.২কেজি পর্যন্তহয়ে থাকে।
· তিন বছরবয়স্ক একটিবাগান থেকেবছরে ৫-৬টন/হেক্টরফলন পাওয়াযায়।
শেষ কথা
অনেকেই দেশে ড্রাগন ফল নতুন হিসেবে উৎসাহের সাথে আবাদ করছেন বা করতে চাচ্ছেন। নতুন ফলের অনেক কিছু যেমন অজানা আছে তেমনি সমস্যাও থাকতে পারে বেশি। তাই কেউ ড্রাগন ফলে আবাদ করতে চাইলে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্ম প্লাজম সেন্টারের পরিচালক বিশিষ্ট ফলবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এম এ রহিমের সাথে যোগাযোগ করে করলে অন্তত ঠকবেন না কম খরচে ভালোভাবে ড্রাগন ফলের চাষ করতে পারবেন। পরিকল্পিতভাবে আমরা আগ্রহীরা এ উদ্যোগ গ্রহণ করে লাভবান হতে পারি।
অনেকেই দেশে ড্রাগন ফল নতুন হিসেবে উৎসাহের সাথে আবাদ করছেন বা করতে চাচ্ছেন। নতুন ফলের অনেক কিছু যেমন অজানা আছে তেমনি সমস্যাও থাকতে পারে বেশি। তাই কেউ ড্রাগন ফলে আবাদ করতে চাইলে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্ম প্লাজম সেন্টারের পরিচালক বিশিষ্ট ফলবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এম এ রহিমের সাথে যোগাযোগ করে করলে অন্তত ঠকবেন না কম খরচে ভালোভাবে ড্রাগন ফলের চাষ করতে পারবেন। পরিকল্পিতভাবে আমরা আগ্রহীরা এ উদ্যোগ গ্রহণ করে লাভবান হতে পারি।
0 comments:
Post a Comment